রহস্যময় ওলান
শাহ সাবরিনা মোয়াজ্জেম
কিছু পতনের শব্দ জেগে থাক
নৈবৃত্তিক তৃষায়!
দুই উরুর সানিধ্যে যে ভালোবাসা
সে ও বেঁচে থাক!
ঘর কুটুম পাখির মতো খোলা জানালা
গলে ঝরে পড়ুক বাড়ন্ত জোছনা!
তাতে শালিক সঙ্গমের কি এসে যায়!
অবলারা বাঁচেনা চিরদিন!
আবার বেঁচে থাকে
কথায় কথায় লিখায় লিখায় !
ভ্যাপসা বাতাসে জোবাইদারা যখন রাণী মহলে
রাজাদের আর্বিভাব রাসকৃত্যে
অবলাদের তনুশ্রীতে!
অনাগত পূর্ব পুরুষের রক্তের ধারা
চোয়াল ভেজাবেই রথি মহারথিরা!
অবলাদের পেটের দায় বলে কথা!
আজ অবলারা নেই!
বেঁচে আছে তার অনুসারীরা
পথে ঘাটে, মাঠে প্রান্তরে!
আর খোলা আকাশের নীচে উষ্ণ পায়ের কাষ্ঠ পাদুকা ভিজিয়ে খোলা পথ রাঙ্গায় যে বাঁশী বিনার তারে হারিয়ে যায়!
মলাট চিবানো যে ছেলেটি বিদ্যের জাহাজ
সেও স্বভাব দোষে পার ভাঙ্গার আড় ফিরে চায়!
বেসামাল গন্ধে সে ও মৃত্যুলোক জয় করতে পারে!
ফাঁকা পকেটে তুড়ি বাজে না!
পূর্ণতা নেই... অপূর্ণতা ঘুছিয়ে দেয়না!
একটা গোলাপের দাম দশ টাকা!
একটা মানুষের এক রাতের দাম নিম্নে পাঁচশ টাকা!
দূর ভাল্লাগেনা!
নিলাম হলেই ভালো হতো!
রসগোল্লার মতো চেয়ে থাকা ছাড়া উপায় কি?
কুয়াশা ঝরছে।
রাতের কলি দাঁড়িয়ে আছে
অর্ধ উদোম গায়ে!
মাঘের শীতে অভ্যস্ত, নেতিয়ে পরা নয়!
তেতেয়ে উঠা চায়!
কোলের শিশুটির গায়ে কে ওম দিচ্ছে
নিশ্চয়ই নানী রূপি কোনো কাল্পনিক মাসি!
টসটসে স্তন কিসের ভারে নেতিয়ে পড়ছে তবে?
কুয়াশা বাড়ছে
রাত বাড়ছে
চোখ ভিজছে
পথ ভিজছে
ভিজছে দুধ গড়িয়ে দুটো রহস্যময় ওলান!!!

