অন্তরিক্ষ ধারাপাত
শাহ সাবরিনা মোয়াজ্জেম
শিৎকারের অপূর্ব কৌশলে
একটি পূর্ণ রাত্রির জন্ম হয়েছিলো।
জন্ম হয়েছিলো একটি না ফোটা ভ্রুণ।
আসলে ভ্রুণ ছিলো ঈশ্বরের দূত।
কিন্তু সামাজিক বয়কটে নাদান জারজ!
সে হতে পারতো কুল উঠা নারী।
ব্লাসনে চিবুক ওয়ালী, গোডাউনে বিক্রেতা!
রাতের নিশি দিনের কলি
শর্টকার্ট নিশিকলি!
নাহ, ওসব কিছুই হয়নি!
হয়েছে দূব্বা ফুল।
পায়ে দলে, তাই দলিত হয়!
কান মলে তাই মথিত হয়!
তার রচিত ভুবনে দাঁড়কাকের অভাব নেই!
কিন্তু
ঈশ্বরের খেয়াল খুশিতে
নারী বর্ষা
নারী মুকুল
নারী হেঁসেল
নারী মঙ্গল অমঙ্গল
নারী ভ্রুণ
সব নারী মিলে, নারী ভুবনের দৈণ্য দশায়
ফাটল ধরালো গ্রহণ লাগা ভ্রুণ!
বেহেলার তারে বাজে পোড়া গজলের রাত!
ঈশ্বরের ইচ্ছে অনিচ্ছে জুড়ে নিচ্ছে
অনর্থক জুড়ে দিচ্ছে টেনেটুনে হাজার রাতের উপকথা!
তবুও কর্কশ জীবন
তরঙ্গে আঁখি যুগল
বিদ্যুৎতায়ীত হবে
ইষ্ণ দুষ্ণ জলে তাবৎ খশে যাওয়া ভ্রুণ!
দ্বিপ নেভে ধুঁপ পোড়ায়!
ব্র্যাকেটে গোপন জ্বালা ধরায়!
তবুও ঈশ্বরের ঘরে তাসবিহ গুণে ভ্রুণ (মানুষ!)
জলের আদলে ছায়া!
ছায়ার আদলে দারিদ্র বিলাসী মন।
এক চোখা বকের মতো দাঁড়িয়ে থাকে
সৃষ্টির রহস্যের ফলাফলে!
ফলাফল কি?
লভ্যাংশ কি?
কি থাকে অনুপাতের ঘরে?
হা প্রশ্ন করো ঈশ্বরকে?
গোপন মন বলে,
হা,সেতো ঈশ্বরের এক সফেদ ভ্রুণ!
যার এক কোণ মায়ের
আর অন্য কোণ বেজন্মা বাবার শিৎকারের
বহুমাত্রিক ধারাপাত!!!