গল্পে ছলে বুনো (৯৯)
শাহ সাবরিনা মোয়াজ্জেম
বুনো,
পরিদৃশ্যমান আলতো সোহাগে
প্রথম বন্দনাকারী চারজন ঘেটু সদস্য।
সুর উচ্চস্বরে বাজছে!
বাড়ির পেছনে হ্যাজাকের আলো ছড়ানো
বিশাল মাঠ! তাতে মঞ্চ!
আমরা ছোট্টদের দল পালা শুরু হওয়ার সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়লাম।
ছোটন নেই, নেই তো নেই!
হঠাৎ চিৎকার চেঁচামেচিতে ঘুম ভাঙ্গলো!
নর্তন কূর্দন চলছে!
চলছে মাইকের বিশাল সাউন্ড।
মাটিতে বিছানো হোগলার পাটিতে বসে রয়েছি!
সে রাতে ছোটনকে আর পাওয়া যায়নি!
পরের দিন পুকুর ধারে চালতা গাছের নীচে
ছোটনের রক্তাক্ত লাশ মিলে।
এক বা একাধিক দ্বারা ধর্ষিত তারপর গলা টিপে হত্যা!
বুনো,
তারপর থেকে পুরুষ বিচি দেখলে ই
ময়লার সাথে ডাস্টবিনে ফেলে দেই!
শাওয়ার ছেড়ে ইচ্ছে মতো গোসল করে নেই।
জাত অজাতে, সম্পর্ক, সম্প্রদায়ে আমার আপত্তি নেই!
প্রশ্ন শুধু পুরুষ বিচিতে!
ছোটনের মরার পর
শুধু পুরুষ বিচির গন্ধ পেতাম!
কুল বাঁচাতে অকুলে সংগ্রহ শালাতে
তিন জোড় পুরুষ বিচি আছে
যা স্বামী আর দু পুত্র!
তার বাইরে আর রাখিনা, রাখতে নেই!
কন্যা জায়া জননী ঘর কুড়াতে গেলে
পুরুষ বিচির কবলে যেনো না পরে!
বুনো,
নিরুগ্ন জলাশয়
যেখানে দুটো সারস
রূপ কথাটির নাম চন্দনা!
বাঁচার ছলে আমি ভালোবেসে ফেলি সারস জীবন!
ঘুরে ঘুরে আমি তোমার সামনে বলির ঘেটু হয়ে দাঁড়াবোই!
সেদিন তুমি অগ্নিমূর্তি হও
কিংবা কোমল পানীয় !
বুনো,
যীশুর ক্রুশের ভারে অবনত দেহ!
ত্রিশুল চোখে চন্দ্রিমা!
আর আমি ঝরে পরা বিনোদনী
মেঘের আশ্রয়ে চলি!
কুয়াশা ঘাটায়!
অবয়ব গাঢ় থেকে গাঢ় হয়!
সাজিয়ে চলি শঙ্খবসন্ত!
সপাটে চলে বিকিকিনি আর
শরীরি জলসা!
চলে এসো এই মোড়ে!
তোমায় শর্ষে তেলে শরীর মাখিয়ে দেবো
খেতে দেবো লাল গালিচায়
যে ভাবে নেকাবের আড়ালে খায় জ্যান্ত মানবী!