সকাল থেকে সন্ধে, যত কাজ সংসারে, সব সামলায়ে রাতে সবার আহারের পর তিনি আহারে বসেন। যত টুকু অবশিষ্ট সেটুকুতেই তৃপ্ত হন যিনি,তিনিই নারী! মহীয়সী নারী।তাঁর সরাদিনের হাঁটাহাঁটি যোগ করলে আট কিলোমিটারে দাঁড়াবে! সে হিসেব কেউ রাখে?
সারাটা জীবন নিজের চির চেনা যে বাবার ঘর, সে ঘরকে করে পর, তাকে চলে যেতে হয় অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথে, সে পথ যে কতটা কণ্টকাকীর্ণ, কতটা বন্ধুর, কতটা অন্ধকারের হতে পারে বা সুখের হতে পারে তার জানা নেই। জলের মাছকে ডাঙায় তুললে যেমন ছটফট করে,তার ভিতরটাও তেমনি ছটফট করে,দম বন্ধ হওয়ার মতো গুমোট একাকিত্যে। যে নারীর উদরে জন্ম নিয়েছে পুরুষ, সেই তাকে সব চেয়ে বেশি অবহেলা করে, নির্যাতন করে অবলিলায়। ঘরে বাইরে, অফিসে,দেহ মনে,দৈহিক বলে।
কবি নজরুল 'নারী' কবিতায় কত কিছু বলে গেলেন সেই ১৯২৫ সালে। এরপরও আমরা ব্যর্থ হয়েছি তাদের যোগ্য মর্যাদা পারিনি দিতে। স্টার বোচার আপ, জাতীসংঘের কর্মকর্তা,১৯৭০ সালে রচিলেন গ্রন্থ,"অর্থনীতিতে নারীর ভূমিকা" শিরোনােমে।
বিখ্যাত হলেন তিনি। জেন্ডার বৈষম্যের বিরুদ্ধে শুরুহলো আন্দোলন, নারীরা গৃহে যে কাজ করে তার ধরা হয়না মূল্যায়ন।অান পেইড জব(Unpaid job.) সেটা। তার মূল্য ধরলে, প্রতিটি নারী এককোটি টাকা পাবে অনায়ােসে,প্রতিটি সংসারে। আসুন আমরা জেন্ডার বৈষম্যের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলি, আবার বলি, নারী নির্যাতন নয়, নারীই সংসারে আনে শান্তি, জীবন করে কাব্যময়।
নারী আর পুরুষের সম্মিলনে পৃথিবী হয়েছে এত সুন্দর মধুময়, না হলে জীবন থেকে যেতে অসম্পূর্ণ, শুষ্ক মরুময়।
আবু হেনা মোস্তফা কামাল

