হৃদয়ে গাঁথা
মনে পরে ৭১ এর সে বিভীষিকাময় দিনের কথা
যদিও দেখিনি আমি যুদ্ধ তবুও মনেতে লাগে ব্যাথা।
হৃদয়ে গাঁথা আছে মার্চের ভয়াবহ ২৫ তারিখ
পাকসেনাদের আক্রমণে ছুটলো সবাই এদিক ওদিক ।
কবি,সাহিত্যিক,লেখক,চিত্রশিল্পী,ডাক্তার
এমন অনেক মেধাবীদের জীবন করলো ছারখার।
দেশকে মেধাশূন্য করার প্রয়াসে করেছিলো এ পরিকল্পনা
বাবার কাছে শুনেছি সব ঘটনার করুন বর্ণনা।
নয় মাস ব্যাপি চললো রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ
কেউ গিয়েছে সম্মুখে কেউ থেকেছে কারাগারে বদ্ধ।
লাখো শহীদের তরতাজা রক্তে ভাসলো বাংলার মুখ
দেশকে স্বাধীন করে মুক্তিযোদ্ধারা পেলো চরম সুখ।
কতো মা বোনদের করেছিলো সম্মানহানী
এখনো মুছতে পারেনি সেই আত্মগ্লানি।
ছেলে হারিয়ে মা হয়েছে পাগলিনী
স্বামীহারা স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে হয়েছে উদাসীনি।
পাশে ছিলোনা মা বাবা,ভাই বোন স্ত্রী সন্তান পরিজন
হায়েনাদের বুলেটের আঘাতে বাঙ্গালীরা দিলো প্রাণ বিসর্জন।
যারা দেশের জন্যে করলো যুদ্ধ প্রাণপনে
তাদের দেয় না সম্মান রাখেনি কেউ মনে।
স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে যদিও হয় তাদেরকে স্মরণ
সারা বছর কেউ দেখেনা কিভাবে হয় তাদের বাঁচন মরণ।
আমরা যারা এখন স্বাধীন দেশের ভাগীদার
তারা কি পারি না এই বীরদের সবখানে করতে অংশীদার।
মঞ্চে উঠে বক্তৃতা দেই সেই বীরদের সম্মানে
বাস্তবে তাদের সম্মান দেই না কোনখানে।
কি অপরাধ ছিলো তাদের করছি অবহেলা
খেয়ে না খেয়ে কাটছে তাদের সারাবেলা।
যাদের আত্মত্যাগে পেলাম বাংলার স্বাধীনতা
মর্যাদাভরে করবো সম্মান পোঁছে দিচ্ছি আজ এই বারতা।
মানিকগঞ্জ

