শরতের মায়াবতী মেঘ মেয়ে
হাসনাহেনা রানু
এই কে তুমি ? ও শরৎ কন্যা ...
কাশফুল মেয়ে ,
নাকি কেশোবতী অনন্যা!
অপরূপ তুমি , রূপকথার রাজকন্যা
মায়াবতী মেঘ, তুমি বলেছিলে,এই শরতের শেষ বিকেলে পোড়াদহ রেলজংশনের কাশবনে বেড়াতে যাবে --
আমিও যাব তোমার সাথে,
চকিত তোমার আহ্বান !
তোমার সরল নিমন্ত্রণ উপেক্ষা করতে পারিনি আমি।
কি করে ফেরাই বলো মন :
কাশফুল আমার অসম্ভব প্রিয়!
ভাললাগা , ভালবাসার বলতে পার
যমুনার পাড়ে ,
ব্যাকুল কাশবনে তোমার সাথে হারাবো না হয় কিছুটা সময়
মায়াবীনি মেঘ , তুমি দু'পায়ে আলতা পরেছ
লাল পাড় সাদা কাশফুল শাড়ি পরেছ :
কাজল টানা দু'চোখ তোমার
কত কথা বলছে ,
দু'হাতে নীল চুড়ি
স্বপ্নের ছবি আঁকছে;
গুচ্ছ গুচ্ছ কাশ ছড়ায় তোমার নিঃশ্বাসের শব্দ চারিদিকে বাতাসে ভাসছে।
মেঘ বালিকা, তোমার ভেজা ঠোঁট ছুঁয়ে শিশির বিন্দু ভালবাসার কবিতা লিখছে :
সবুজ ঘাসের দু'চোখ অভিমানে ভরেছে --
মেঘ ,মেঘ মেয়ে তুমি বলো না ---
তুমি ডেকেছিলে আমায় এই কাশবনের ভীড়ে ---
আমি না এসে পারিনি থাকতে !
শতকৃষ্ণচূড়া রং শান্ত বিকেল
আমি মাড়িয়ে এসেছি দু'পায়
এক পৃথিবী ভালবাসা উপচে গেছে স্বর্গীয় কাশবন ভাবনায় !
হতেম যদি গুচ্ছ গুচ্ছ কাশের ছড়া
শিশির ভেজা সোনালী ভোরের নরম আলোয় অকপটে নিজেকে বিলিয়ে দিতাম !
শুনেছি স্বপ্ন বেড়াতে যায়
উন্মুক্ত আকাশে ডানা মেলে
তারাদের দেশে :
একমুঠো দুঃখ জয় করে
আজ এই প্রথম কোন
স্বপ্ন সত্যি হলো
হাজারো দুঃস্বপ্নের ভীড়ে এই শরতে তুমি পাশে আছ জেনে ..........